অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৬০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ও আবাসিক ইউনিট ধ্বংস করেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এই তথ্য সামনে এনেছে। শুত্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায়, বিশেষ করে গাজা ও উত্তর গাজা গভর্নরেটের ৬০ শতাংশেরও বেশি বাড়িঘর ও আবাসিক ইউনিট ধ্বংস করার কারণে আমাদের জনগণ সত্যিকারের এবং ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে।’
এতে বলা হয়েছে, ‘৫০ হাজারেরও বেশি পরিবার তাদের বাড়িঘর সম্পূর্ণভাবে হারিয়েছে। অন্যদিকে আড়াই লাখ আবাসন ইউনিট ইসরায়েলি হামলার কারণে আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।’
গাজার স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা সম্পর্কে মিডিয়া অফিস বলেছে, ‘অঞ্চলটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এখনও গুরুতর বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। বোমা হামলা, দখল, ধ্বংস ও হাসপাতাল উড়িয়ে দেওয়ার কারণে ২৬টিরও বেশি হাসপাতাল ও ৫৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।’
অফিসটি উল্লেখ করেছে, ‘হাজার হাজার নিহতের মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে এবং সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ও জ্বালানি সংকটের কারণে বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো এখনও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।’
গাজার পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর সহায়তা বহনকারী দৈনিক ১ হাজার ট্রাক এবং দৈনিক ১০ লাখ লিটার জ্বালানি প্রয়োজন বলেও জোর দিয়ে জানিয়েছে মিডিয়া অফিস।
এছাড়া গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সংঘটিত অপরাধের জন্য ইসরায়েল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সম্পূর্ণরূপে দায়ী বলেও জানিয়েছে তারা।
এই পরিস্থিতিতে ‘জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সাহায্যের প্রবেশ এবং আরও বৃহৎ সংখ্যক ট্রাকের প্রবেশে বিলম্ব বা বাধা না দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস।
Leave a Reply